পাকিস্তানের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশটির বিখ্যাত সব ক্রিকেটার, ক্রিকেটের উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে বিশ্বখ্যাত সেই ক্রিকেটারদের মধ্যে রাখা হয়নি ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের প্রথম ও একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খানকে।

ইমরানকে না রাখার কারণটা অবশ্য অনুমেয়। ক্রিকেটজীবন শেষ করে রাজনৈতিক জীবনে পা রেখেছেন তিনি। গড়ে তুলেছেন তেহরিক-ই-ইনসাফ নামের রাজনৈতিক দল। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীও। গত বছর বিরোধী দলের অনাস্থায় প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান। বর্তমানে তোশখানা মামলায় তিন বছরের কারাভোগ করছেন তিনি।

বিষয়টির কড়া সমালোচনা করছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট ভক্ত-সমর্থকরা। আর পুরো বিষয়টি নিয়ে ভীষণ ক্ষিপ্ত আরেক কিংবদন্তী ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম।

সেই ভিডিওতে ইমরান খান না থাকায় পিসিবিকে ক্ষমাও চাইতে বলেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার, ‘দীর্ঘ ফ্লাইট এবং ট্রানজিট শেষে শ্রীলংকায় এলাম। এসেই আমি অবাক হয়ে গেলাম পিসিবির ছোট ভিডিও দেখে যেখানে ইমরান খানকে রাখা হয়নি। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতেই পারে কিন্তু ইমরান পাকিস্তান ও বিশ্ব ক্রিকেটের আইকন। তিনি পাকিস্তানের ক্রিকেটকে শক্ত ভিত্তি দিয়েছেন। পিসিবির উচিত এই ভিডিও সরিয়ে ক্ষমা চাওয়া।’

ইমরান খান ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ছিল নেতৃত্বের ক্ষুরধার মস্তিষ্ক। টেস্টে ৩৬২ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি তার রান আছে ৩ হাজা ৮০৭। ওয়ানডেতে ১০৮ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি রান করেছেন ৩ হাজার ৭০৯।

পিসিবির শেয়ার করা সেই ভিডিওতে রাখা হয়েছে, জাভেদ মিয়াঁদাদ, ওয়াসিম আকরাম, শোয়েব আক্তার, ওয়াকার ইউনিস, শহীদ আফ্রিদি, বাবর আজমদের। পাকিস্তান ক্রিকেটের স্মরণীয় মুহূর্ত- ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জয়, ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় কিংবা ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের স্মৃতিও ভিডিওতে তুলে ধরা হয়েছে।

ইমরান খানের পাশাপাশি সেই ভিডিওতে রাখা হয়নি মোহাম্মদ ইউসুফ কিংবা সাঈদ আনোয়ারের মতো ক্রিকেটারকেও। টেস্টে এক বছরে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক এখনো ইউসুফ। ২০০৬ সালে মাত্র ১১ ম্যাচে ১ হাজার ৭৮৮ রান করেছিলেন তিনি। ৯টি সেঞ্চুরি ও ৩ হাফ সেঞ্চুরিতে করা এই রানে গড় ছিল ৯৯.৩৩। অন্যদিকে চেন্নাইতে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সে সময়ের সর্বোচ্চ ১৯৪ রান করে স্মরণীয় হয়ে আছেন আনোয়ার।